সাদ,ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও এফবিআই’র সাবেক গুপ্তচর রবার্ট লেভিনসন ইরানে আটকাবস্থায় মারা গেছেন বলে তার পরিবারের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যে খবর বেরিয়েছে তা কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। তেহরান বলেছে, লেভিনসন বহু বছর আগে অজ্ঞাত গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ইরান ত্যাগ করেছেন।
রবার্ট লেভিনসন ২০০৭ সালে ইরানে অবস্থানকালে নিখোঁজ হয়ে যান। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন চাকুরিজীবীর পরিচয়ে ইরানে প্রবেশ করে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছিলেন।মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি ২০১৩ সালে খবর দেয়, লেভিনসন নিজের পরিচয় গোপন করে ইরানে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র পক্ষে কাজ করছিলেন।
সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভি
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভি বলেছেন, নির্ভরযোগ্য দলিলপ্রমাণের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে, লেভিনসহ বহু বছর আগে ইরান ত্যাগ করেছেন এবং তার ইরান ত্যাগের বিষয়টি তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীও স্বীকার করে নিয়েছেন।তাকে খুঁজে না পাওয়ায় মুসাভি লেভিনসনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, লেভিনসন ইরান ত্যাগ করার পর কোথায় গেছেন তা জানার জন্য তেহরান গত কয়েক বছর ধরে ব্যাপক চেষ্টা চালিয়েছে; কিন্তু তার জীবিত থাকার কোনো প্রমাণ খুঁজে বের করতে পারেনি।
মুসাভি বলেন, মার্কিন সরকার যদি লেভিনসনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে থাকে তাহলে তার উচিত বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক খেলা বন্ধ করে ও মৃত ব্যক্তির পরিবারের অনুভূতির অপব্যবহার না করে তার মৃত্যুর বিষয়টি ঘোষণা করা।
দরিদ্র দেশ ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সামরিক আগ্রাসন পাঁচ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। আমেরিকার সমর্থনপুষ্ট বর্বরোচিত রক্তক্ষয়ী আগ্রাসনের প্রতি আবারো কঠোর নিন্দা জানিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। একইসঙ্গে তেহরান বলেছে, ইয়েমেনি জনগণের বিরুদ্ধে সংঘঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধযজ্ঞের সহযোগী হওয়ার জন্য ওয়াশিংটনকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। গতকাল (মঙ্গলবার) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের আগ্রাসন পাঁচ বছর শেষ হয়ে ষষ্ট বছরে গড়িয়েছে।কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নিরাপরাধ এবং নির্যাতিত ইয়েমেনি জগণের রক্তপাত এবং দেশটির অবকাঠামতে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ছাড়া কোনো সফলতা নেই। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, এ অন্যায় যুদ্ধের মাধ্যমে পুরো ইয়েমেনকে তছনছ করে দেয়া হয়েছে। দেশটিকে পুরোপুরি নির্জনতায় পরিণত করা হয়েছে এবং সেখানে শতাব্দির সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয়ের দৃশ্যে পরিণত করেছে। সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট আমেরিকার সমর্থন নিয়ে ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। সৌদি আরবের সমর্থনপুষ্ট আব্দুল হাদিকে ফের ক্ষমতায় বসানোই যুদ্ধের প্রধান উদ্দেশ্য যদ...
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমস্ত ফিলিস্তিনি নাগরিককে মুক্তি দিতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর যখন ইসরাইলের কারাগারে ফিলিস্তিনিদের সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে তখন এই আহ্বান জানালো ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ (বুধবার) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছে যে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের কারা কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনি বন্দীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যথাযথ সেবা দিচ্ছে না। এর আগে ইহুদিবাদী ইসরাইল জানিয়েছে যে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়লেও তারা ফিলিস্তিনিদের জন্য উন্নত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না। ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, এ ধরনে দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে ইসরাইল আন্তর্জাতিক রীতিনীতি এবং মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে জেনেভা কনভেনশন লংঘন করেছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, ফিলিস্তিনি বন্দীদের জীবন এবং স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব দখলদার শক্তিকেই গ্রহণ করতে হবে
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন